জাতীয় পার্টির (জাপা) কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাম্প্রতিক হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাটি এখন রাজনৈতিক মহলে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। বিএনপি এই ঘটনাকে দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করার ষড়যন্ত্র হিসেবে আখ্যায়িত করেছে এবং এটি এক অপ্রয়োজনীয় পদক্ষেপ বলেই মনে করছে।
হামলার পর জাপা তাদের পূর্বনির্ধারিত সমাবেশের কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেয়। তবে, ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র, শ্রমিক ও জনতার প্রতিবাদে দুটি পক্ষের মুখোমুখি অবস্থানের কারণে পুলিশ ওই এলাকায় সভা-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। ফলে, দুই পক্ষই তাদের কর্মসূচি স্থগিত করতে বাধ্য হয়।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই ঘটনাকে একটি পরিকল্পিত চক্রান্ত হিসেবে উল্লেখ করেছেন এবং বলেছেন যে, দেশের অস্থিতিশীলতা তৈরি করার জন্য এমন অপ্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও বলেছেন, জনগণই রাজনৈতিক দিকনির্দেশনা ঠিক করবে।
অন্যদিকে, সদ্য ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগকে ‘সহযোগী’ বিবেচনায় জাপাকে কোণঠাসা করার পরিকল্পনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। আন্দোলনের বিভিন্ন অংশে এ নিয়ে মতবিরোধ থাকলেও জাপার ওপর আক্রমণ এবং তার কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জাতীয় পার্টি রাজনৈতিকভাবে কিছুটা সুবিধাজনক অবস্থানে এসেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম নেতা জোনায়েদ সাকি মনে করেন, রাজনৈতিক দলগুলোর কার্যালয়ে আক্রমণের মাধ্যমে কোনো অর্জন সম্ভব নয়, বরং রাজনৈতিকভাবে এর মোকাবিলা করা উচিত। তবে, কিছু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র নেতা তাদের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে কটাক্ষ করে বলেন, “যেই পথে গেছে আপা, সেই পথে যাবে জাপা।” জাতীয় পার্টির নেতারা এই অবস্থানকে তাদের রাজনৈতিক কার্যক্রম থামানোর একটি চক্রান্ত হিসেবে দেখছেন।