ঢালিউড অভিনেত্রী নিপুণ আক্তার ২০০৬ সালে চলচ্চিত্রে অভিষেক করেন। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর তার জীবন পাল্টে যায়। শেখ সেলিমের সমর্থনে একের পর এক সিনেমায় কাজ করেন এবং জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। তবে, গত ৫ আগস্টের পর থেকে তিনি স্বৈরাচার সরকারের পক্ষে কিছু বিতর্কিত পোস্ট করেন।
শেখ হাসিনার পতনের পর অনেক তারকাই আত্মগোপনে চলে গেছেন, নিপুণও তাদের মধ্যে অন্যতম। ধারণা করা হচ্ছে, জুলাইয়ের শেষের দিকে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। সেখানে থাকলেও, বাঙালি কমিউনিটির প্রতিক্রিয়ার ভয়ে খুব একটা জনসমক্ষে আসছেন না।
আওয়ামী লীগের বিভিন্ন প্রচারণায় নিয়মিত অংশগ্রহণ করতেন নিপুণ। শেখ সেলিম ও আওয়ামী লীগের নাম ব্যবহার করে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে নিজের প্রভাব বিস্তার করেন এবং সাধারণ সম্পাদকের পদে অধিষ্ঠিত হন। তার নেতৃত্বে সমিতি কার্যত তার একক সিদ্ধান্তেই চলত।
নিপুণের এক ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, তার দেশে ফেরার তেমন কোনো পরিকল্পনা নেই। দেশে ফিরলে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার মুখোমুখি হতে পারেন তিনি। বর্তমানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে তার মেয়ে তানিশার সঙ্গে অবস্থান করছেন, যদিও সেখানেও তিনি খুব বেশি জনসমক্ষে আসছেন না।
নিপুণের জীবনের শুরুতে, ১৯৯৯ সালে উচ্চ মাধ্যমিকের পর তিনি রাশিয়ায় যান এবং ২০০৪ সাল পর্যন্ত মস্কোতে পড়াশোনা করেন। এরপর যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান এবং সেখানেই বিয়ে করেন। যদিও সেই বিয়ে বেশিদিন টেকেনি, তাদের ঘরে তানিশা নামে এক কন্যাসন্তান রয়েছে। ২১ বছর বয়সী তানিশার সঙ্গেই এখন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন নিপুণ।